কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার মহিষকান্দি গ্রামের মোঃ মাইনউদ্দীন তালুকদারের মেয়ে সাজেদা বেগমের উপর দেশ থেকে মেয়ে নিয়ে দুবাইতে দেহ ব্যবসা করানো অভিযোগ উঠেছে। তার এই কাজে সহযোগিতা করে তার দুই মেয়ে এবং স্বামী! রাজি না হলে করা হয় শারীরিক নির্যাতন। এমন তথ্য দিয়েছেন ববি খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী।

বগুড়া জেলার মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইমুনালে পাঁচজনকে আসামি করে ভুক্তভোগী ববির মা বাদী হয়ে একটি মানব পাচার মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আসামিরা হলেন, ইমরান গাজী, সান্তনা বেগম (উম্মেহানী শান্ত), রায়হান গাজী, রায়হানের স্ত্রী আফসানা মিমি, এবং রায়হান ও ইমরানের পিতা বাদল গাজী।

ভুক্তভোগী ববি খাতুন জানান, কাঁঠালিয়া উপজেলার বাসিন্দা সাজেদা বেগম সাত বছর যাবত দুবাই থাকেন, তার সাথে থাকেন তার ছোট মেয়ে (উম্মেহানী সান্তুর) জামাই ইমরান এবং সাজেদার বোনের ছেলে ইমরান। দুবাইতে (শান্তা সেন্টার) নামে সাজেদার রয়েছে একটি দেহ ব্যবসা করানোর সেন্টার। সাজেদা গ্রামের সাধারণ মেয়েদের চাকরির কথা বলে দুবাই আনেন। এবং সাজেদার মেয়ের জামাই এবং বোনের ছেলেকে দিয়ে বিভিন্ন নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দুবাইতে এনে দেহ ব্যাবসা করান। এই কাজে সহযোগিতা করেন সাজেদার দুই মেয়ে উম্মেহানী শান্তু এবং সম্পা ও স্বামী সহিদ সরিফ। দুবাইতে নেবার পরে দেহ ব্যবসা করার জন্য চাপ দেয়া হয়। রাজি না হলে তাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হয়, এমনকি শরীরে কারেন্টের শক পর্যন্ত দেয়া হয়, না খাইয়ে রাখা হয়। এভাবে অত্যাচার করে দেহ ব্যবসা করতে বাধ্য করান সাজেদা। ভুক্তভোগী আরো জানান, এই কাজে আরো দুই সহযোগী হলেন ইমরানের ছোট ভাই রায়হান এবং ইমরানের নানী। এভাবে অত্যাচারের পরেও যদি দেহ ব্যবসা করাতে রাজি না করতে পারে তাহলে অন্য সেন্টারে টাকার বিনিময় বিক্রি করে দেয় হয়।

এ বিষয়ের সাজেদার দুই মেয়ে (উম্মেহানি শান্তু) এবং সম্পা ও স্বামী সহিদ জানান, এরকম কর্মকান্ডের সাথে তারা যুক্ত নয়। তাদেরকে সমাজে হ্যাঁও প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। মামলার বাদীকে তারা কখনো দেখেননি এবং চিনেন না। ইমরানের ছোট ভাই রায়হান জানান, আমার বড় ভাই ইমরান ভালোবেসে বগুড়া থেকে একটি মেয়েকে বিয়ে করে দুবাই নিয়ে গেছেন। এবং সেখানে তাকে পার্লারের কাজ দিয়েছেন, নারী পাচার অভিযোগের বিষয় সে জানেনা ।

এ বিষয়ে সাজেদা জানান, ওই মেয়েকে আমি চিনিনা কেন এমন অভিযোগ করেছে সে মম্পর্কে আমি অবগত নয়। এবিষয় ইমরানের নানী এবং ইমরানের শাশুড়ি সাজেদার সাথে কোনরকম যোগাযোগ করা যায়নি।